কোরআন অবমাননাকারী পালুদানকে কারাদণ্ড

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


কোরআন অবমাননার জন্য সুপরিচিত ডানপন্থী ডেনিশ-সুইডিশ রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সুইডেনের একটি আদালত। জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার জন্য তাকে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।

সুইডেনের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এসভিটি নেইহেটার জানিয়েছে, মালমোর একটি জেলা আদালত সুইডেনে ২০২২ সালে একটি জনসমাবেশে নির্দিষ্ট জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানি এবং আরব ও আফ্রিকানদের অপমান করার দুটি অভিযোগে ডানপন্থী এই রাজনীতিবিদকে অভিযুক্ত করেছে।

সুইডেনে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন পালুদান। তিনি ডেনিশ রাজনৈতিক দল স্ট্রাম কুরস (হার্ড লাইন) এর নেতা।

জেলা আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই রাজনীতিবিদ একটি সমাবেশে মুসলমানদের অসম্মান করেছিলেন। ইসলামের সমালোচনা বা রাজনৈতিক প্রচারণার কাজ হিসাবে তার এই কার্যকলাপ ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।

এসভিটি নেইহেটারের খবর অনুযায়ী, আদালতের চেয়ারম্যান, চিফ কাউন্সিলর নিকলাস সোডারবার্গ বলেছেন, 'পালুদানের বিবৃতি শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য অপমানজনক ছিল। জনসমক্ষে ইসলাম এবং এমনকি মুসলমানদেরও সমালোচনা করা যায়। এটা বৈধ। তবে একদল লোকের প্রতি অবজ্ঞা কোনোভাবেই সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়।'

এদিকে রাসমুস পালুদান জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন না যে তিনি কোনো অন্যায় করেছেন। এছাড়া এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।

২০২২ সালের এপ্রিলে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি জনসভায় মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন পালুদান। তার এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড মালমো, ল্যান্ডসক্রোনা, লিংকোপিং এবং ওরেব্রো শহরে দাঙ্গার সূত্রপাত করেছিল। এছাড়া ডানপন্থী এই রাজনীতিবিদ সমাবেশের সময় বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর ফলে জেলা প্রসিকিউটর তার বিরুদ্ধে একটি জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

একই বছর অনুষ্ঠিত অন্য একটি জনসভায় তিনি আরব ও আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বর্ণবাদী কথাবার্তা বলেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সুইডেন এবং ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এই ঘটনাগুলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছিল দুই দেশের সরকার। এর ফলে মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমনকি কূটনৈতিক মিশনে হামলা করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: