গাজার মসজিদে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা, হামাসের তীব্র নিন্দা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৪২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলি সেনারা গাজার একটি মসজিদে কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনায় হামাস তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে আরব ও মুসলিম দেশ ও সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

আল জাজিরা আরবি সম্প্রতি ইসরায়েলি সৈন্যদের ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত একটি ফুটেজ সম্প্রচার করেছে, যেখানে তাদেরকে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের পাতাগুলো ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। একই সময়ে তারা উত্তর গাজার বনি সালেহ মসজিদটিও পুড়িয়ে দেয়। ইসরায়েলি ড্রোন থেকে করা আরেকটি ভিডিওতে খান ইউনিসের ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা দেখানো হয়েছে।

২৪ আগস্ট, শনিবার হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানায়, কোরআনের কপি পোড়ানো এবং মসজিদের অপবিত্রতা ও ধ্বংসের মাধ্যমে ইসরায়েল আবারও মুসলমানদের সঙ্গে তাদের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের মুসলিম ও খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোকে রক্ষা এবং গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষ করার জন্য বিশ্বের মুক্ত জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের হিসেবমতে, গত ১০ মাসে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬১০টি মসজিদ ও তিনটি গির্জা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে।

আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স’ এক বিবৃতিতে জানায়, কোরআনের অনুলিপি অপবিত্র করা এবং গাজায় মসজিদগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলের যুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে, এমনকি ইসলামের বিরুদ্ধেও। গ্রুপটি ইসরায়েলি বাহিনীকে অপব্যবহারের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও নিন্দা জানায়।

গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ এক বিবৃতিতে বলেন, বাইডেন প্রশাসনকে অবশ্যই এই ধর্মীয় অপবিত্রতার নিন্দা করতে হবে এবং ইসরায়েলি সরকারের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত করতে হবে, যাতে গাজায় হত্যা ও অনাহারের প্রচারণা বন্ধ করা যায়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: