গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় আল-দারাজ এলাকায় অবস্থিত আল-তাবাঈন ফজরের নামাজের সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গাজার সরকারী মিডিয়া অফিস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘জাতিগত নির্মূল অভিযা’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
১০ আগস্ট শনিবার সকালে ঘটা এই মর্মান্তিক হামলার সময় বাস্তুচ্যুত বহু বেসামরিক নাগরিক স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজার মিডিয়া অফিস এই হামলার সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপিয়েছে। একই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্ব সংস্থাগুলোর কাছে গাজার বেসামরিক नागরিকদের উপর এই "গণহত্যা" বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের একটি সামরিক সদর দপ্তর ছিল। তারা আরও দাবি করেছে যে, বেসামরিক ক্ষতি কমাতে সকল রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির মোট ৬টি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের জন্য গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তাদের মারাত্মক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৯,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: