৯ মাসে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে অপহরণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ব্যাপক অপহরণ অভিযানের মাধ্যমে ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এবং অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসে প্রায় ৯,৬০০ ফিলিস্তিনিকে তুলে নিয়ে গেছে, জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাসমূহ। ১৬ জুলাই, মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি বন্দি বিষয়ক কমিশন, ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এবং আদামির প্রিজনার্স সাপোর্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ বিবৃতিতে এটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতি অনুসারে, এর মধ্যে ৩২৫ জন মহিলা, ৬৭০ জন শিশু এবং ৪৪ জন সাংবাদিক রয়েছে।

অক্টোবরের শুরু থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তথাকথিত প্রশাসনিক আটকের ৭,৫০০ টিরও বেশি আদেশ জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে শিশু ও মহিলাদের বিরুদ্ধে আদেশ সহ নতুন আদেশ এবং নবায়নকৃত আদেশও রয়েছে। প্রশাসনিক আটক একটি অমানবিক নীতি, যা ইসরায়েল প্রয়োগ করে। এটা তাকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চাপিয়ে বা তাদের বিচার না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফিলিস্তিনিদের কারাগারে রাখার অনুমতি দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ই অক্টোবর থেকে পরিচালিত আটক অভিযানের সাথে ক্রমবর্ধমান অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন যেমন অবমাননা, নৃশংস মারধর, বন্দিদের এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে হুমকি, বন্দীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও ধ্বংস, যানবাহন, স্বর্ণ ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও বিশেষ করে তুলকারেম এবং জেনিনের শরণার্থী শিবিরে অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিবন্দীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯,৭০০ জন, যার মধ্যে ৩,৩৮০ জন প্রশাসনিক বন্দী রয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি বন্দীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মান ছাড়াই শোচনীয় পরিস্থিতিতে বন্দী রাখে। ফিলিস্তিনি বন্দিরা নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতন, হয়রানি ও দমন-পীড়নের শিকার হয়।

এই বছরের শুরুর দিকে, ফিলিস্তিনি কমিশন অফ ডিটেনিস অ্যাফেয়ার্স এবং ফিলিস্তিনি প্রিজনারস সোসাইটি যৌথভাবে বলেছিল, ১৯৮৭ সালে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে প্রশাসনিক বন্দিদের সংখ্যা বেড়ে ৩২৯১ জন বন্দী হয়েছে। যা গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে এ যাবত কালের সবচেয়ে বেশি।

এছাড়াও ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১২০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

 

সূত্র : প্রেস টিভি ইরান



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: