গাজার উদ্বাস্তুদের একটি আশ্রয় শিবিরে যোহরের নামাজরত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। আশ্রয় ক্যাম্পের মাঠে বানানো একটি অস্থায়ী মসজিদে ১৩ জুলাই শনিবার ওই হামলা চালানো হয়। খবর সিএনএনের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজা সিটিতে অবস্থিত আল শাতি আশ্রয় ক্যাম্পের ভেতরে একটি বিধ্বস্ত মসজিদ ভবনের বাইরে খোলা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে নামাজের জায়গা বানিয়েছিলেন উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা।
যোহরের নামাজের মুহুর্তে সেই মুসল্লিদের ওপর বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, তখন অনেক লোক অস্থায়ী মসজিদের ভিতরে বা কাছাকাছি ছিল।
গাজার সিভিল ডিফেন্স মুখপাত্র মাহমুদ বাসল বলেন, বোমা হামলাটি দুপুরের নামাজের মাঝামাঝি চালানো হয়েছিল। ওই হামলায় নিহতের পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবারই অবস্থা গুরুতর এবং বেশির ভাগেরই অঙ্গ ক্ষতি হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, খোলা জায়গায় নামাজের জন্য মাদুর বিছানো জায়গায় মৃতদেহ পড়ে আছে। একাধিক লাশ ও বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়ে আছে।
গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালের ডা. আমজাদ এলেওয়া জানান, আল শাতি ক্যাম্পের মাঠের মসজিদে শনিবারের বোমা হামলায় তাৎক্ষণিক ২০ জন লোক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও দুইজন পরের দিন মারা গেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শনিবার তাদের দৈনিক ব্রিফিংয়ে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, আনুমানিক দুপুর একটার দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) আল শাতি শরণার্থী শিবিরের ভেতরে একটি অস্থায়ী মসজিদে হামলা চালায়।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এই বিমান হামলার বিষয়ে কোনো পূর্ব সতর্কতাও জারি করেনি ইসরায়েল।
একইদিন গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস শহরে নিরাপদ অঞ্চল ঘোষিত একটি আশ্রয় শিবিরে বোমা হামলায় ৯০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
গাজা উপত্যকাজুড়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৮ হাজার ৫৮৪ জন নিহত এবং ৮৮ হাজার ৮৮১ জন আহত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: