ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এর মধ্যেই এক হামলায় বোনসহ পরিবারের ১০ সদস্যকে হারিয়েছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। ২৫ জুন, মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় আল শাতি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরা ও জেরুজালেম পোস্টের।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তিনি অবশ্য বর্তমানে কাতারে বসবাস করছেন। আর তার পরিবারের অন্যরা রয়েছে গাজায়।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হানিয়ার জন্মস্থান গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে তার বোনসহ পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল জানান, শাতি শরণার্থী শিবির এলাকায় ইসমাইল হানিয়ার বাড়ি টার্গেট করেই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে তার বোন জাহর হানিয়াসহ ১০ জন মারা গেছেন।
বোনসহ পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবরে এক শোকবার্তায় ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, তার রক্ত (বোনের) ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তের সঙ্গে মিশে আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।
এর আগেও শাতি ক্যাম্প এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে গত ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ওই সময় শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হানিয়ার ছেলেদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালানো হয়। মূলত ঈদের দিন শাতি ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন হানিয়ার ছেলেরা। ছেলে ও নাতিদের শহীদ হওয়ার খবরে ওই সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন হামাস প্রধান হানিয়া।
এদিকে শাতি ক্যাম্প ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তুফাহ শরণার্থী শিবিরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সোমবার রাত থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনটি হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ২৩৭ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: