বিয়েতে অতিরিক্ত জাঁকজমক না করে সেই অর্থ দিয়ে হজ করতে গেছেন ইন্দোনেশিয়ান এক নবদম্পতি। তারা মনে করেন, একসঙ্গে হজ পালনের মধ্য দিয়েই তারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করা গেলে সেটিই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে সুখকর বিষয়। খবর এসপিএ।
মুহাম্মদ শাফি ও রাফাহ নুরি নামের এই ইন্দোনেশিয়ান নবদম্পতি বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেই ঠিক করেছিলেন, তারা বিয়েতে খুব বেশি উদযাপনে যাবেন না। বরং সেই অতিরিক্ত উদযাপনের অর্থে তারা হজ করবেন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে তাদের বৈবাহিক জীবনের যাত্রা। তারা আশা করেন, এর ফলে তাদের নতুন সংসার বরকতময় হয়ে উঠবে।
হজের জন্য সৌদি যাওয়ার পথে তারা যখন ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন, তখন কিছুক্ষণ পর পর তারা হাত তুলে প্রার্থনা করছিলেন। সে সময় তাদের চেহারায় প্রফুল্লতা, প্রত্যাশা ও আনন্দাশ্রুর স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছিল।
নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তারা ভাষা হারিয়ে ফেলছিলেন। তারা বলেন, হজের পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আমরা এখন বাইতুল্লাহ শরিফ, মসজিদে নববিসহ ইসলামের অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলো দেখার চিন্তায় বিভোর রয়েছি। আমরা জানি, যখন এগুলো আমরা বাস্তবে দেখব, সে সময়ের অনুভূতি হবে কল্পনাতীত। সে অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা আমাদের নেই।
তারা আরও বলেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, তাদের ওপর হজ পালন করা ফরজ। জাঁকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো পালন করা হলে, তাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যেত। আমরা সেই টাকা বাঁচিয়ে হজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে আমাদের যে নতুন জীবন শুরু হবে, তার ভিত্তি থাকবে ধার্মিকতার ওপর। এখন আমরা পবিত্র স্থানে প্রার্থনা করা এবং পরস্পর পবিত্র স্মৃতি ভাগ করে নেওয়ায় জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এ পদ্ধতিতে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে হজের জন্য সৌদি প্রবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তারা আল্লাহর মেহমানদের সুবিধার্থে সৌদি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: