মিসর ও জর্দান সফরকালে মুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোজা রাখার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত ২৪ মার্চ সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যম এক্স এর বার্তায় তিনি একথা জানান।
রোজা রাখা প্রসঙ্গে এক্স এর এক বার্তায় গুতেরেস লিখেন, ‘রমজানের এই সংহতির মিশনে রোজা রেখেছি। মূলত আমি যে মুসলিমদের সঙ্গে দেখা করছি তাদের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তা করছি। অবশ্য গাজায় অনেক ফিলিস্তিনি সঠিক ইফতার করতে পারছে না জেনে আমার অন্তর ভেঙে পড়েছে।’
এ সময়ে তিনি মিসরের বিশ্বখ্যাত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আহমদ আল-তাইয়েবের সঙ্গে গাজা প্রসঙ্গে আলাপ করেন।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ‘হতাশাজনক’ আখ্যায়িত করে আহমদ আল-তাইয়েব বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্প্রীতির প্রচেষ্টা দুর্বল করছে, যা আমরা বছরের পর বছর ধরে উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে আসছি। গাজায় আগ্রাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া খুবই হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পশ্চিমা ও আমেরিকান জনগণকে দেখেছি, এমনকি অনেক ইহুদিকে দেখেছি, যারা গাজায় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বেরিয়েছেন।’
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা ও সমর্থনে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে আল-আজহারের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে সম্মান করতে এবং তাদের দুর্ভোগ কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানাই। গতকাল (শনিবার) আমি রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেছি। যেন আমি সবার কাছে আগ্রাসন বন্ধের গুরুত্বের বার্তা পাঠাতে পারি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেবল কথায় নয় বরং সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারে।’
এ সময় তিনি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ‘ইসলামফোবিয়া’ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে বৈষম্য ও ঘৃণা তৈরি করছে বলে জানান। তিনি পারষ্পরিত সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৭২ হাজার ৫২৪ জন আহত হয়েছে।বর্তমানে এখানকার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে কঠিন সময় পার করছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: