ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে অন্তত ১৫ শিশু মৃত্যু হয়েছে। ৩ মার্চ রবিবার এক বিবৃতিতে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এতথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
এ ছাড়া কামাল আদওয়ান হাসপাতালের জেনারেটর ও অক্সিজেন মেশিন বন্ধ করার ফলে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভোগা আরো ছয় শিশুর জীবন নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান মুখপাত্র।
১৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সতর্ক করে, গাজা উপত্যকায় শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের মধ্যে অপুষ্টির তীব্র বৃদ্ধি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি ‘গুরুতর হুমকি’ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে ওই অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলার পরিস্থিতিতে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অনুসারে, ১৫২টি স্বাস্থ্য সুবিধা আংশিকভাবে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। পাশাপাশি গাজার ৩১টি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে এবং চিকিৎসা সরবরাহ ও জ্বালানির অভাবে পরিষেবার বাইরে রয়েছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় মারাত্মক আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রায় সাড়ে ৩০ হাজার মানুষ নিহত এবং সাড়ে ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি যুদ্ধের কারণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি অঞ্চলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: