খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত জেলার একটি স্কুলের বাইরে নিযুক্ত একজন পুলিশ অফিসারের গুলিতে এক ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্রীসহ আরও সাতজন।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) শফিউল্লাহ গন্ডাপুরের মতে, আলম খান নামে পরিচিত কনস্টেবলকে হামলার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়। শফিউল্লাহ গন্ডাপুর বলেন, ‘বিষয়টি আরো তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে দোষীকে কঠোর আইনি শাস্তি দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত সালামপুর এলাকার বাসিন্দা এবং তাকে দুইবার পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খানকে গত বছর পুলিশ বিভাগে পুনর্বহাল করা হয়েছিল এবং তিন মাস আগে নিরাপত্তার জন্য স্কুলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রীদের একজন বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্কুলের গেট থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ভ্যানে নির্বিচারে গুলি চালায়। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ভয় পেয়ে যায় এবং চিৎকার করতে শুরু করে। এরপরেই আশে পাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করে।
বিভীষিকাময় ঘটনাটি জানার পর, কেপির ইন্সপেক্টর জেনারেল আখতার হায়াত ঘটনার খবর নেন এবং মালাকান্দের আঞ্চলিক পুলিশ অফিসার নাসির মেহমুদ দাস্তি, ডিপিও গন্ডাপুর এবং সোয়াতের জেলা প্রশাসক ইফরানউল্লাহ ওয়াজিরসহ আহত শিশুদের দেখতে যান।
সোয়াত পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরপিও মালাকান্দ আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র : দ্য ডন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: