পাকিস্তানে কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : নিহত ১৪

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৬ মে ২০২৩ ০৯:১২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

পাকিস্তানে কয়লাখনি দখলকে কেন্দ্র করে দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে খাইবার পাখতুন প্রদেশের কোহাট জেলার দারা আদম খেল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১১ জন সানিখেল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এবং তিনজন আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। এ ছাড়া আহত ১২ জনের সবাই সানি খেল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে দারা আদম খেল পাহাড়ি এলাকায় কয়লাখনির দখলকে ঘিরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী নিযুক্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসনের দুর্বলতার জন্য রক্তক্ষয়ী বিরোধের সমাধান হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

এ সংঘর্ষের ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি। দারা আদম খেল প্রশাসনের কর্মকর্তা আজম খান বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা সাধারণত প্রচলিত আইন মানে না। তারা নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে পছন্দ করে। এ কারণে কোনো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।

পাহাড়ি ওই এলাকাটির প্রায় চার মাইলজুড়ে কয়লাখনি রয়েছে। এলাকাটি আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দখলে রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এই এলাকার কয়লাখনির দখল নিয়ে সানি খেল ও আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তখন বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সেখানে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়। এরপর গত ১২ মে আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বাফার জোন লঙ্ঘন করলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়।

২০১৯ সাল থেকে এ এলাকার কয়লা খনির দখল নিয়ে সানি খেল ও আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই বিরোধের ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।

 


সূত্র : ডন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: