২০২৩ সালে যেসব বিশ্ববরেণ্য মুসলিম ব্যক্তিত্ব ইন্তেকাল করেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৪:০৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

নিজের সমাজ-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এমন আলেমের সংখ্যা বেশ দীর্ঘ। তারা বেঁচে থাকার সময়ে তাদের শূন্যতা অনুভব হয় না খুব একটা। তবে তাদের বিদায়ে শূন্যতা তৈরি হয় ধীরে ধীরে। যা সহসাই পূরণ হয় না। ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়া বরেণ্য আলেমদের তালিকা তুলে ধরা হলো এখানে-


শায়খ ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ :
এ বছরের ৮ এপ্রিল মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী আলেম শায়খ ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ আবদুল্লহ আল-খাওলি ৯৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালের ১৭ মে মিসরের গারবিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বালাগাত ও নাকদশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর করেন এবং ১৯৭৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৮০ সালে সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটি এবং ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।


শায়খ আবদুল্লাহ কামিল :
গত ২৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। সুরেলা কণ্ঠে কোরআন পাঠের জন্য সবার কাছে পরিচিত ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ হাফেজ। তিনি ১৯৮৫ সালে মিসরের আল-ফাইউম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কোরআন হিফজ করে ২০০৫ সালে দারুল উলুম কলেজ থেকে স্নাতক করেন। ২০১৫ সালে তিনি টিভি প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। কর্মজীবনে তিনি কুয়েত, সৌদি আরব, যক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ইমাম ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম ছিলেন।


মাওলানা মুহাম্মদ রাবে হাসানি :
গত ১৩ এপ্রিল ভারতের লখনৌয়ের দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার প্রধান মাওলানা মুহাম্মদ রাবে হাসানি নদভি ৯৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালের ১ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় পড়াশোনা করেন। তাঁর মামা আল্লামা আবুল হাসান আলী নদবি (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি দারুল উলুমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ভারতীয় কাউন্সিল উত্তর প্রদেশ ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি রিয়াদভিত্তিক রাবিতা আল-আদব আল-ইসলামীর সহসভাপতি ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের অন্যতম সদস্য ছিলেন।


শায়খ আবদুল বাকি :
গত ১২ জুলাই তুরস্কের নকশবন্দি তরিকার শায়খ আবদুল বাকি আল-হুসাইনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন নকশবন্দি ধারার প্রবীণ ব্যক্তি। তিনি ১৯৪৯ সালের ১ মে আদিয়ামান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকে তিনি জামাতে মানজিলের মুরশিদ ছিলেন। সামাজিক প্রভাব ও শিষ্যের সংখ্যার দিক থেকে মানজিল দলটি তুরস্কের বৃহত্তম আধ্যাত্মিক দলগুলোর অন্যতম।


শায়খ মুস্তফা আল-সাইরাফি :
এ বছরের ২৬ আগস্ট সিরিয়ার প্রভাবশালী আলেম ও দায়ী শায়খ মুস্তফা আল-সাইরাফি ইন্তেকাল করেন। তিনি দোহাভিত্তিক মুসলিম সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামের নানা বিষয়ে তাঁর বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হতো নানা শ্রেণির মানুষ। তিনি ১৯৩০ সালে সিরিয়ার হামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইসলামী শরিয়াহ, সাহিত্য ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ছিল।


শায়খ মুহাম্মদ তাহির আয়াত :
গত ১৪ জুন আলজেরিয়ার প্রভাবশালী আলেম শায়খ মুহাম্মদ আত-তাহির আয়াত আলজাত ১০৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি ফরাসি উপনিবেশবিরোধী বিপ্লবের অন্যতম নেতা এবং আজীবন আলজেরিয়ান ফতোয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালে আলজেরিয়ার বেজাইয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পড়াশোনার পাশাপাশি ফরাসি উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৭ সালে মাতৃভূমির স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন গড়তে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে যান। ১৯৬২ সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার পর নিজ দেশে ফিরে আসেন। তিনি আজীবন ইসলাম প্রচার, মালেকি ফিকাহ চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন।


শায়খ তাজুদ্দিন আল-হিলালি :
গত ৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ তাজুদ্দিন হামিদ আল-হিলালি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘ ৩১ বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের বিখ্যাত লাকেমবা মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ১৯৪০ সালে মিসরের সাওহাজে জন্মগ্রহণ করেন। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়া বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ইমামতি ও শিক্ষকতা করেন। ১৯৮২ সালে তিনি লাকেমবা মসজিদের ইমাম হন। ১৯৮৮ সালে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত করা হয়। সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ২০০৫ সালে তাঁকে বর্ষসেরা মুসলিম ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি লাকেমবা মসজিদ থেকে অব্যাহতি নেন।


শায়খ লুতফি দুগান :
গত ৪ নভেম্বর তুরস্কের সাবেক ধর্মবিষয়ক প্রধান শায়খ লুতফি দুগান ৯৩ বছরে ইন্তেকাল করেন। লুতফি দুগান ১৯৩০ সালে তুরস্কের গুমুশানে প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ধর্মবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন এরবেকানের আহ্বানে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


মাওলানা সাইয়েদ শাহেদ আল-হাসানি :
গত ৬ অক্টোবর ভারতের প্রাচীন মাদরাসা মাজাহেরুল উলুম সাহারানপুরের মহাপরিচালক মাওলানা সাইয়েদ শাহেদ আল-হাসানি ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন শায়খুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া কান্ধলভি (রহ.)-এর নাতি ও মাওলানা ইনামুল হাসান (রহ.)-এর জামাতা। সাইয়েদ শাহেদ আল-হাসানি (রহ.) ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাজাহেরুল উলুম মাদরাসায় পড়াশোনা করে সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি মাদারাসাটির ‘আমিন আম’ (মহাপরিচালক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন অনন্য যোগ্যতার অধিকারী নিভৃতচারী একজন আলেম। মাজাহেরুল উলুম মাদরাসার উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দ্বিনি ইলম বিস্তারে গ্রন্থ রচনা ও গবেষণায় তিনি সারা জীবন অতিবাহিত করেন। ভারতের বৃহত্তম মুসলিম সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ও জমিয়ত উলামা হিন্দের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।

মাওলান এতহেরামুল হক থানবী : গত ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলান এতহেরামুল হক থানভি। তিনি ছিলেন মাওলানা এহতেশামুল থানভির বড় ছেলে। মাওলানা ইহতিশামুল হক থানভি হাকিমুল উম্মত খ্যাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.)-এর ভাতিজা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি জামিয়া এহতিশামিয়্যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিছু দিনের জন্য পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পিটিআই করাচির সাথে যুক্ত ছিলেন। মাওলান এতহেরামুল হক ১৯৪২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং পাঁচ ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচিতে আসেন।


হাজী গুলজার আজমী :
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের আইনি সহায়তা কমিটির (লিগ্যাল এইড টিম) প্রধান জনাব হাজী গুলজার আজমী ইন্তেকাল করেন ২০ আগস্ট। হাজী গুলজার আজমী জীবদ্দশায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের লিগ্যাল টিমের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ মুসলমানদের কারাদণ্ডের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন।


ড. আলি আল-সালুস : ইসলামী অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ শায়খ ড. আলি আল-সালুস ইন্তেকাল করেন ৮৯ বছর বয়সে। তিনি আরববিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ফিন্যান্স ও অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ তিনি দীর্ঘ ৪৩ বছর কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ড. আলি বিন আহমদ আলি আল-সালুস ১৯৩৪ সালে মিসরে জন্মগ্রহণ করেন। কায়রোর বিশ্বখ্যাত কুল্লিয়াতু দারুল উলুম থেকে ১৯৫৭ সালে লিস্যান্স ও ১৯৬৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়াহ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময় তিনি মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর কুয়েতের হাই স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৮১ সাল থেকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টিতে আমৃত্যু অধ্যাপনা করেন।

ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর ফিকাহ বোর্ডের ফিকাহ ও অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দি এসেম্বলি অব মুসলিম জুরিস্ট-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, লন্ডনে অবস্থিত কাতার ইসলামিক সেন্টারের ট্রাস্টি, মিসরের শরিয়া কমিশন ফর রাইটস অ্যান্ড রিফর্মের প্রধান।


কারী শায়খ আব্দুল্লাহ কামিলের ইন্তেকাল : মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন মিশরের জনপ্রিয় কারী শায়খ আব্দুল্লাহ কামিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে নামাজে ইমামতি করার সময় ইন্তেকাল করেন তিনি।

শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল ১৯৮৫ সালে মিসরের আল-ফাইউম প্রদেশের ইউসুফ সিদ্দিক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মগতভাবেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। ছোটবেলায় ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কোরআন হিফজ করেন। এরপর ২০০৫ সালে আল-ফাইউম বিশ্ববিদ্যালয়ের দারুল উলুম কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আল-ফজর চ্যানেলে সম্প্রচারিত কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। শায়খ আবদুল্লাহ কুয়েত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত রমজানে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সেন্টার ও টিভি-চ্যানেলে তিনি নিয়মিত ইসলামী আলোচনা করতেন। মনমুগ্ধকর তিলাওয়াতের জন্য শায়খ আবদুল্লাহ অনলাইন ও অফলাইন সবখানে খুবই জনপ্রিয়। ইউটিউব চ্যানেলে তার তিলাওয়াতের অনেক ভিডিও রয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার তিলাওয়াত নিয়মিত সম্প্রচার হয়।


শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ :
সৌদি আরবের বিশিষ্ট ইসলামী দায়ি শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ ইন্তেকাল করেন ২৭ জানুয়ারি। শায়খ আবদুল্লাহ বানামাহ সৌদি আরবের বিভিন্ন মসজিদ ও প্রোগ্রামে ইসলাম বিষয়ক আলোচনা করতেন। ৩০ বছর আগে দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও সব প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে ধৈর্য ও অবিচলতার প্রতীক ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে জায়গা করে নেন সবার মনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শায়খ আবদুল্লাহর মৃত্যু-পূর্ব উপদেশ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তরুণদের উপদেশ দিয়ে ভিডিওতে তিনি সবাইকে নামাজ আদায়, বাবা-মায়ের আনুগত্য ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে তাওবার মাধ্যমে পাপ মুক্ত জীবন গড়ার আহ্বান জানান। তা ছাড়া আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত তার জীবন দীর্ঘ হওয়ার দোয়াও করেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: