গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দিতে তারা যুদ্ধবিরতি দুই থেকে চার দিন বাড়াতে চায়। শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি আজ ২৭ নভেম্বর, সোমবার শেষ হওয়ার কথা।
সূত্রটি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, 'হামাস মধ্যস্ততাকারীদের জানিয়েছে যে প্রতিরোধ আন্দোলন বর্তমান যুদ্ধবিরতি দুই থেকে চার দিন বাড়াতে চায়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা মনে করে, এর ফলে আরো ২০ থেকে ৪০ জন ইসরাইলি যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে।
ইসরাইলের যুদ্ধ পরিষদও রোববার তাদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে সভার সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
ইসরাইল ইতোপূর্বে জানিয়েছিল, প্রতি ১০ জন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে। এসময় প্রতি একজন ইসরাইলি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে আটক তিনজন করে ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। আর গাজায় ব্যাপকভাবে জ্বালানিসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
এদিকে সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলেই ইসরাইলি পণবন্দীদের ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ২৬ নভেম্বর, রোববার আল জাজিরা লাইভে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য গাজী হামাদ।
লাইভে গাজী হামাদ বলেন, হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ইসরাইলি কারাগারে বন্দী সকল ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়া হলে ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্ত দেব। এ বিষয়ে আমরা খুব শিগগির আলোচনায় বসব। এরপর বিষয়টি মিডিয়াকে জানানো হবে।
এদিকে, হামাস-ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের বিরতি ও বন্দী বিনিময় চলছে। পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘণ্টা। এরই মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান বাড়ছে।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দিনের যুদ্ধ বিরতির মধ্যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে নতুন করে আন্তর্জাতিক আহ্বান বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দুই-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার এখ্নই সেরা সময়।
আল জাজিরার সাংবাদিক জেমস বেসের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন- অ্যালন লিয়েল, ফিলিস বেনিস ও মুস্তাফা বারঘৌতি। তারা পুরনো দ্বন্দ্বের স্থায়ী সমাধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে যোগ দিয়েছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: