দাঙ্গাবাজদের কঠোর হাতে দমন করা হবে : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১১ মে ২০২৩ ১৭:৩৪

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ


দাঙ্গাবাজদের কঠোর হাতে দমন করার অঙ্গীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শাহবাজ শরিফ এই হুঁশিয়ারি দেন। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, সহিংসতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন শাহবাজ শরিফ।

দুর্নীতির মামলায় গত মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাঁকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শাহবাজ শরিফ তাঁর ভাষণে বলেন, সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধীদের আইন হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। অন্যথায় তাঁদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃভূমি ও তার আদর্শ রক্ষা করাটা তাঁদের কাছে নিজেদের জীবনের চেয়েও মূল্যবান বিষয়। তাঁরা তাঁদের (পিটিআইয়ের নেতা-কর্মী) ঘৃণ্য পরিকল্পনা সফল হতে দেবেন না।

কোনো নেতার গ্রেপ্তার হওয়াটা কখনোই ভালো খবর নয় বলে মন্তব্য করেন শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, তবে ইমরান খান ও তাঁর দল পিটিআই আইনি পথ অবলম্বন করেনি। তাঁরা (নেতা-কর্মীরা) গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত স্থাপনা ভাঙচুর করে দেশের সঙ্গে শত্রুতা করার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন মানে সব মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করা। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল।

শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এমন সহিংস ঘটনা তাঁরা দেখেননি। পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা শত্রুর মতো রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি-স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষকে সড়কে অবরুদ্ধ করেছেন। অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহন পুড়িয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। এটা হলো ইসলামি শিক্ষা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আইনগতভাবেই দুর্নীতির মামলা মোকাবিলার পরামর্শ দেন শাহবাজ শরিফ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় আইন অনুযায়ী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি)।

পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সহিংস বিক্ষোভের সময় সংযম দেখানোয়, সাধারণ মানুষকে রক্ষা করায় সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জারস ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ‘পিটিআইয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান’ করায় তিনি দেশবাসীরও প্রশংসা করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: