তাওরাতের বরাত দিয়ে ইসরাইলকে যা বললেন এরদোগান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ : সংগৃহীত ছবি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ : সংগৃহীত ছবি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বরাত দিয়ে বলেন, শিশু ও হাসপাতালে হামলার কথা ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থের কোথাও নেই।

‘হাসপাতালে গুলি করা বা শিশুদের হত্যা করা তাওরাতের কোথাও নেই, আপনি এটি করতে পারেন না,’ বলেন এই তুর্কি নেতা। তিনি বলেন, ইসরাইল নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

২৭ নভেম্বর, শুক্রবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

ইসরাইলের সমালোচনার পুনরাবৃত্তি করে তিনি গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে আবারও জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ইসরাইল গাজার হাসপাতালগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। সেই সঙ্গে টেলিকমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট এবং তীব্র জ্বালানি সংকট চলছে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেন, ইসরাইল কি হাসপাতাল, উপাসনালয় এবং গির্জাকে টার্গেট করে? এরপর নিজেই উত্তর দেন, হ্যাঁ, এটা করে।

এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি একজন মুসলিম হিসেবে এতে মর্মাহত হয়েছি। তিনি গির্জায় হামলার নিন্দা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পশ্চিমা খ্রিস্টান নেতাদের সমালোচনাও করেন।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এরদোগান বলেন, তুরস্ক ও জার্মানির উচিত গাজায় একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা। এই অঞ্চলে সঙ্কট ছড়িয়ে পড়া রোধ করার একমাত্র উপায় এটি।

এরদোগান দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন এ সময়। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে যে এটি (দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান) শান্তির জন্য অনিবার্য।

তুর্কি নেতা বলেন, তুরস্ক হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে।


সূত্র : ডেইলি সাবাহ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: