গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে থাকা অনেক ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসার জন্য তুরস্কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলের হাসপাতালে ফিলিস্তিনি রোগীদের দেখতে যান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফখরুদ্দিন কুজা ও প্রধান চিকিৎসক আরজান ইয়ানি। এ সময় রোগীরা ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে নিজ দেশে চিকিৎসাব্যবস্থা করায় এরদোয়ানকে কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে গত বুধবার ১৩ সঙ্গীসহ ২৭ ফিলিস্তিনি রোগীকে মিসরের আল-আরিশ বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নেওয়া হয়। এরপর তাদের আঙ্কারার বিলকেন্ট মেডিক্যাল সিটির অনকোলজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে দেখতে এরদোয়ানসহ অন্যরা যান।
১৭ বছর বয়সী মাহমুদ আবু নাদা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ফিলিস্তিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ও আশা সব কিছুই ধুলোয় মিশে গেছে। চলমান যুদ্ধে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তা ছাড়া বোমাবর্ষণে গাজার তুর্কি হাসপাতাল একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে আমার ভাইকে হারিয়েছি।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ফিলিস্তিনি নারীরা তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আশা করব, এরদোয়ান একদিন গাজা উপত্যাকা পরিদর্শনে যাবেন।’ যেন তিনিও ফিলিস্তিনিদের আতিথেয়তা লাভ করেন। এরদোয়ান তাদের জন্য সাধ্যমতো সব কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজার লোক মারা গেছে; যার মধ্যে চার হাজার ৭১০ শিশু এবং তিন হাজার ১৬০ নারী রয়েছে। এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: