ইসরায়েল দ্রুত গাজায় হামলা যদি বন্ধ না করে তবে যুদ্ধ পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।
গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর, ৩ নভেম্বর শুক্রবার এই প্রথম প্রতিবেশী লেবাননের প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহ এর প্রধান এ সংঘাত নিয়ে সরাসরি কথা বললেন।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র এ সংগঠনের নিজস্ব দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী রয়েছে। তারা ইসরায়েলের সমর্থনে ভূমধ্যসাগরে পাঠানো মার্কিন রণতরীকে প্রতিহত করার হুমকিও দিয়েছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর লেবানন সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও ইসরায়েলে গোলা হামলা চালাচ্ছে। এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বড় ধরণের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল হিজবুল্লাহ।
শুক্রবার টেলিভিশনে এক ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেন, “আমরা সম্ভাব্য সব পরস্থিতির জন্য প্রস্তুত। যদি কেউ আঞ্চলিক যুদ্ধ আটকাতে চায় এবং আমি আমেরিকাকে বলছি, তবে অবশ্যই দ্রুত গাজায় হামলা বন্ধ করতে হবে।”
হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের নৌশক্তিকে ভয় পায় না বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। বলেন, “আপনারা, আমেরিকানরা, খুব ভালো করেই জানেন, যদি এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে আপনাদের রণতরী কোনো কাজে আসবে না, এমনকি আকাশ থেকে বিমান হামলা চালিয়েও কোনো লাভ হবে না। এবং একমাত্র যাকে মূল্য চুকাতে হবে সে হলো…আপনাদের স্বার্থ, আপনাদের সেনা এবং আপনাদের রণতরী।”
নাসরুল্লাহর এই হুঙ্কারের জবাবে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এর একজন মুখপাত্র বলেন, তারা নাসরুল্লাহর ভাষণ সম্পর্কে অবগত আছেন। কিন্তু তারা এই ‘যুদ্ধ উস্কানিমূলক কথায়’ প্রলোভিত হবেন না।
বলেন, “হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় পক্ষকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত না।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: