ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ‘সমঝোতা চুক্তি’র জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য গাজি হামাদ এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
হামাদ বলেন, ‘আমরা চাই এই মানুষগুলো বাড়ি ফিরে যাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও, আমরা চাই আমাদের বন্দিরাও এবার বাড়ি ফিরুক। আমি মনে করি, ‘আমরা এখন সম্পূর্ণ সমঝোতা করতে বা একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।’
তবে তিনি শর্ত আরোপ করে বলেন, এর জন্য ইসরায়েলি ডিটেনশন সেন্টার থেকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। হামাদ বলেন, ‘হামাস যোদ্ধারা কখনোই বেসামরিক মানুষকে হত্যা করতে চায়নি। আমাদের ইসলামের ধর্মে কোনো বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতি করা বা হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এ নিয়ে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর হামাসের হাতে মোট ২৩ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারাল। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
নিহতরা হলেন, ক্যাপ্টেন বেনি ওয়াইস (২২), মাস্টার সার্জেন্ট উরিয়া ম্যাশ (৪১), মাস্টার সার্জেন্ট ইহোনাটান ইয়োসেফ ব্র্যান্ড (২৮) এবং সার্জেন্ট মেজর গিল পিশিতজ (৩৯)। তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই ২৭ অক্টোবর থেকে সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
তিন সপ্তাহের ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় ৯ হাজার ৬১ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭৬০ জন শিশু রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: