জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের দূত বলেছেন, ‘গাজা এখন পৃথিবীর জাহান্নাম’। ৩০ অক্টৈাবর সোমবার জাতিসংঘের অধিবেশনে রিয়াদ মনসুর আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ গাজায় ফিলিস্তিনিদের বাঁচালে তা মানবতাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানো হবে’। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভোগ সহ্য করছে। কাউকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। তাদের অবরুদ্ধ করে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বিমান হামলার পর গাজার অর্ধেক বাড়ি এখন ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজায় কার্যত আমাদের সব লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মনসুর বলেন, মানুষেরা গাড়িতে-রাস্তায় ঘুমাচ্ছে। বাঁচার জন্য তারা যেখানেই যাক না কেন সেখানেই তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গাজার দক্ষিণে ৩ হাজার জনসহ ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, ইসরায়েল জোরপূর্বক কয়েক হাজার মানুষকে স্থানান্তর করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মৃত্যুর এ বিস্ময়কর পরিসংখ্যান প্রতি মিনিটে বাড়ছে। নিরাপত্তা পরিষদে সদস্য দেশগুলোকে এখনই ফিলিস্তিনিদের অবস্থা উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন এবং প্রতি রাতে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের বাঁচান। মানুষ হিসেবে দেখুন।’
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি নাগরিকরা। দেশটির উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভ থেকে নেতানিয়াহু সরকারের যুদ্ধনীতির সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা দাবি করেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর সামরিক হামলা কেবল আরও যুদ্ধ ডেকে আনবে।
হামাসের হাতে আটক বন্দিদের পরিবার ইসরায়েলি সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, জিম্মিদের মুক্ত করার অংশ হিসেবেই গাজাতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা গান গেয়ে প্রতিবাদ করেন এবং নিখোঁজদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন। অপহৃত হওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তারা ‘এখনই তাদের বাড়িতে নিয়ে আসুন’ স্লোগান দেন।
এ ছাড়া, হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শনিবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের রাস্তায় প্রতিবাদ করেন। গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: