গাজার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানে ওয়াশিংটন সফরে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:০৪

সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান : সংগৃহীত ছবি সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান : সংগৃহীত ছবি


গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান আগামীকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি গাজা পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরাইলের অব্যাহত হামলার মুখে গাজার যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যে প্রিন্স খালিদ এই সফর করছেন।

গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা অব্যাহত রাখার বিপদ সম্পর্কে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বিবৃতিতে গাজাবাসীদেরকে 'আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনি' হিসেবে অভিহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে একটি কঠোর বিবৃতি প্রকাশ করেছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা অব্যাহত রাখার বিপদ সম্পর্কে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দেয় সৌদি আরব।

বিবৃতিতে গাজাবাসীদেরকে 'আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনি' হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ইসরাইলের স্থল অভিযানের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন নির্লজ্জ ও অযৌক্তিকভাবে লঙ্ঘন অব্যাহত রাখার বিপদ সম্পর্কে সৌদি আরব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে।'

তিনটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি মিডিয়া জানায়, বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিনকেন এবং বেশ কয়েকজন সিনেটরের সাথে আলোচনা করবেন।

উল্লেখ্য, এই যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল সৌদি আরব।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে কাতারের মধ্যস্ততায় আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। উপত্যকাটির ওপর ইসরাইল হামলা জোরদার করা সত্ত্বেও আলোচনা অব্যহত রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে।

একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, আলোচনা ভেঙে যায়নি, তবে তা চলছে 'অনেক মন্থর গতিতে।' পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি আরো জানায়, আলোচনায় স্পর্শকাতরতা থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে দুই শতাধিক লোককে বন্দী করে। হামাস বলছে, গাজায় হামলা বন্ধ করা হলে এবং ইসরাইলে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়া হলে এদের ছেড়ে দেয়া হবে।

ইতোমধ্যেই কাতারের মধ্যস্ততায় হামাস দুই দফায় চারজনকে মুক্তি দিয়েছে।



সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা এবং অন্যান্য



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: