সঙ্ঘাতের বিস্তার ঘটলে পরিণতি হবে ভয়াবহ : সৌদি যুবরাজ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১১

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক : সংগৃহীত ছবি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক : সংগৃহীত ছবি


ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান সঙ্ঘাতের বিস্তার ঘটলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে বৈঠকের সময় এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ইসরাইলের প্রতি ব্রিটেনের দৃঢ় সমর্থনের অংশ হিসেবে তেলআবিব সফর শেষে সৌদি আরবে যান ঋষি সুনাক।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে যুবরাজ সালমান বলেন, সঙ্ঘাতের বিস্তার ঠেকাতে অবিলম্বে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সঙ্ঘাতের যাতে আরো বিস্তার যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এ সঙ্ঘাত চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এর পরিণতি হবে বিপজ্জনক।

ক্রাউন প্রিন্স সালমান আরো বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইল যেভাবে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে, তা স্পষ্টতই ‘গর্হিত অপরাধ’। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের বোমাবর্ষণকে পাশবিক হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে সৌদি আরব। একই সাথে গাজায় এসব নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেন সৌদি যুবরাজ।

এ দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ইসরাইল ও গাজায় গত দুই সপ্তাহ ধরে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণহানি যে ভয়ঙ্কর এক ঘটনা এ ব্যাপারে দুই রাষ্ট্রনেতা একমত হয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ গাজায় পানি-খাবার ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্য পৌঁছানোর বিষয়েও জোরারোপ করেছেন তারা। টানা দুই সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।

এমনকি ইসরাইলের পূর্ণ অবরোধ আরোপের ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন গাজা বর্তমানে ভয়ানক মানবিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ভূখণ্ডটিতে পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় হামাস।

হামাসের ওই অভিযানে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে ইসরাইল। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে ঢুকে হামলা চালালে কমপক্ষে ১৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলেও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। তা ছাড়া হামাসের হামলায় আহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইসরাইলি। এ ছাড়া ১৯৯ জনকে ইসরাইল থেকে বন্দী গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

পরে প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা থশুরু করে ইসরাইল। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বিমান হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৮০৮ জনে পৌঁছেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: