গাজার মানবিক পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠছে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৪১

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত



টানা পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং অবরোধের মধ্যে থাকার পর গাজার মানবিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছে। রেড ক্রস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জ্বালানিসংকটের কারণে গাজার হাসপাতালগুলো কবরস্থানে রূপ নিতে শুরু করেছে। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। হাসপাতালগুলো হাজার হাজার আহত রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে।


কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ওষুধও শেষ হয়ে আসছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাতে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে।


যার কারণে গাজার লাখো বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। গাজার বেশির ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ইসরায়েল থেকে। তবে হামাসের হামলার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে গাজার বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা তাদের কাছে নতুন কিছু নয়।

এক নারী বলেন, ‘আমার যত দূর মনে পড়ে বহু বছর যাবৎ আমরা বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার সমস্যায় রয়েছি।’
হামাসের হামলার পর বিদ্যুৎ ছাড়াও খাদ্য এবং পানিসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকার দরকার। গাজা উপত্যকায় ত্রাণ এবং ওষুধ সরবরাহ করার জন্য নিরাপদ করিডর দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে গাজা ত্যাগের করিডর দেওয়ারও দাবি উঠেছে।


যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। জাতিসংঘ এবং মিসর গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় কমপক্ষে তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েল গাজা সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে। এদের মধ্যে নিয়মিত সৈন্যের পাশাপাশি তিন লাখের মতো সংরক্ষিত সৈন্য রয়েছে। তবে গাজার ভেতরে তারা কখন অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: