হামাসের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মিছিল করছে সব শ্রেণির মানুষ। এ সময় তারা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন দিয়েছে। ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ফিলিস্তিনি পতাকা দুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। ইসরাইলের আঞ্চলিক শত্রু বলে পরিচিত ইরানের পার্লামেন্ট অধিবেশন শনিবার শুরু হয়েছে সদস্যদের ইসরাইল নিপাত যাক ধ্বনির মধ্য দিয়ে। তারা স্লোগান দিতে থাকেন- ইসরাইল ধ্বংস হবে। বিজয়ী হবে ফিলিস্তিন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, শনিবারে হামাসের অভিযানে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযানের এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে।
লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোতে শত শত মানুষ হামাসের অপারেশনকে সমর্থন করে রাস্তায় মিছিল করেছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ হামাসের পতাকা হাতে নিয়ে রাজধানী বৈরুতে চক্কর দেন মোটরসাইকেলে।
দ্য ইলেকট্রনিক ইনতিফাদা ওয়েবসাইটের সহপ্রতিষ্ঠাতা আলি আবুনিমাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নিষ্পেষণ ও গণহত্যার কারণে ৮০ বছরের মধ্যে শনিবার সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।
বাগদাদ মল নামে একটি শপিং মলেও আলোকিত করা হয় ফিলিস্তিনি পতাকার রঙে। লেখা হয়- আল আকসা ডিল্যুজ। হামাসের অপারেশনের প্রতি সমর্থন দিয়ে এ কথা লেখা হয়। ইরাকের বসরা নগরীতেও হামাসের সমর্থনে র্যালি হয়েছে। সেখানে জনতা তাদের গাড়ি চালিয়ে এবং হামাসের, ফিলিস্তিনের পতাকা দুলিয়ে র্যালিতে অংশ নেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফাতিহ মসজিদের সামনে সমবেত হন হাজারো জনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দ্রুততার সঙ্গে বলেন, এতে যোগদানকারীরা আরব শরণার্থী। স্থানীয় কেউ নন। ইয়েমেনের তাইজ শহরেও র্যালি হয়েছে। এই শহরটি হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর হুতিদের সমর্থন দেয় ইরান।
ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিন স্কয়ারে সমবেত হন অনেক মানুষ। সেখানে আতশবাজিতে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। ইরানের রাজধানীর আজাদি স্কয়ারে একটি স্মৃতিস্তম্ভকে ফিলিস্তিনি পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়। তার ওপর লেখা ওঠে- ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নিই।
টাইমস অব ইসরাইল বলছে, হামাসের সমর্থনে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। এতে অংশ নেন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীরা। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি ও হামাসের পাতাকা। রাস্তায় নেচে-গেয়ে হামাসের প্রতি সমর্থন জানান তারা। একই রকম সমর্থনসূচক র্যালি হয়েছে রামাল্লাহ, হেবরন, নাবলুস ও জেনিনে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: