মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।
খবরে বলা হয়েছে, মহামারী ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠছে সৌদি আরবের পর্যটন খাত। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটিতে পর্যটক সংখ্যা মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) প্রকাশিত ইউএনডব্লিউটিও ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ব্যারোমিটার জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পর্যটকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে সৌদি আরব।
পর্যটন শিল্পে সৌদি আরবের এ সাফল্য পর্যটন খাতে তাদের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরেছে। গত মাসে রিয়াদ বিশ্ব পর্যটন দিবসের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছিল। যেখানে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানগুলো তুলে ধরা হয়।
২০৩০ সাল পর্যন্ত পর্যটন কৌশল নির্ধারণ করেছে সৌদি। দেশটি এ দশকের মধ্যে ১০ কোটি নতুন পর্যটক আকর্ষণ এবং এ খাতে অন্তত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়। যার মধ্য দিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পর্যটন খাতের অবদান ১০ শতাংশ নিশ্চিত করতে চায় দেশটি।
সৌদি পর্যটন খাত উন্নয়নের জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে সেখানে। এই অর্জন বিশ্বব্যাপী পর্যটনশিল্পের বিকাশে সৌদি আরবের মর্যাদাকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে উল্লেখ করেন দেশটির পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব।
তিনি বলেন, এই অর্জন মক্কা-মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের জন্য দেশটিকে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায় বেশ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সৌদি আরবের বৈচিত্র্যময় নিসর্গের সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির আসির পর্বতমালা, জেদ্দার ঐতিহ্যবাহী ভবন, মরুভূমি, মাদাইন সালেহর ইসলাম-পূর্ব সভ্যতার নিদর্শন, নয়নাভিরাম মরূদ্যান ইত্যাদি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: