ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব “সুক্কোৎ” পালনের জন্য পশ্চিমতীরের হেবরন শহরে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদে ২ দিনের জন্য মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। তবে এ সময়ে মসজিদটিতে অনুপ্রবেশ করার অধিকার পাবে ইহুদিরা। ২ অক্টোবর, সোমবার আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক ঘাসন আল-রাজাবি আনাদোলুকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সুক্কোৎ উৎসব উপলক্ষে সোম ও মঙ্গলবার ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।”
তিনি আরো বলেন, মসজিদের প্রতিটি দরজা ও অভ্যন্তরের সমস্ত স্থানে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের।
১৯৯৪ সালে বারুক গোল্ডস্টাইন নামে একজন উগ্র ইহুদি চরমপন্থী ইব্রাহিমি মসজিদের ভেতরে ২৯ জন ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে শহীদ করে। মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে মসজিদটিকে ইহুদি ও মুসলিমদের জন্য দুইটি ভাগে বিভক্ত করে দেয় দখলদার কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, সারা বছর জুড়ে ইহুদিদের উৎসব উপলক্ষে প্রচুর ছুটির দিন থাকে। এসব দিনগুলোতেও মসজিদটিতে মুসলিমদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতি বছর অন্তত ১০ দিনের জন্য এমন ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য; হেবরনে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদটি ইসলামের নবী ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব আলাইহিস সালামের কবর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যা মুসলিম ও ইহুদি উভয় সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত স্থান।
২০১৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পশ্চিম তীরের পুরনো শহর “হেবরন” ও ইব্রাহিমি মসজিদ কে ইউনেস্কো কর্তৃক “ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
হেবরনে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি সহ ৭০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর বসবাস রয়েছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: