সৌদি আরব-চীনের কাছ থেকে ১১০০ কোটি ডলার সহায়তা চায় পাকিস্তান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:২৫

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক : সংগৃহীত ছবি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক : সংগৃহীত ছবি


অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ সৌদি আরব ও চীনের কাছ থেকে ১১০০ কোটি ডলার সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে পাকিস্তান। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই যেন একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা সৃষ্টি করা যায়, সেই লক্ষ্যে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার দেশের কৃষি, বৈশ্বিক দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে খুচরা বাজার, কৃষি ও আবাসন খাতকে করের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ কর যাচ্ছে। পাশাপাশি মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে সিনেটর সেলিম মান্ডভিওয়ালার সভাপতিত্বে অর্থ ও রাজস্ববিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. শামশাদ আখতার বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি জানান, সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামকে ফেডারেল সরকারের অধীনে না রেখে প্রাদেশিক সরকারের কাছে স্থানান্তরের বিষয়েও আলোচনা করেন।

বিদেশি অর্থসহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার এলে বৈদেশিক সহায়তার গতি অনেকটাই বাড়বে। এ সময় তিনি জানান, সরকার চীন ও সৌদি আরবের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় সহায়তার অংশ হিসেবে ১১০০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। পাশাপাশি সৌদি আরবের কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে জানান ড. শামশাদ।

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাইরের দেশগুলো থেকে অর্থায়নের চাহিদা পূরণে আমরা বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো বিভিন্ন বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৩০ কোটি ডলার তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করছি। আইএমএফ এরই মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে এবং আরও প্রায় ১০০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় সহায়তা প্রত্যাশা করছি আমরা।’


সূত্র : দ্য ডন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: