ভারতের সংসদে মুসলমানরা গণপিটুনির শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি।
সম্প্রতি সংসদে বিজেপি এমপি রমেশ বিধুরি, বিএসপি নেতা দানিশ আলি এমপিকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, কাটুয়া, মোল্লা ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা তিনি বলেন, বর্তমান শাসনামলকে তিনি হিটলারের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন। এমন দিন আসবে যখন ভারতীয় সংসদে কোনো মুসলিমকে গণপিটুনি দেওয়া হবে। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর,রোববার দিবাগত গভীর রাতে হায়দ্রাবাদে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
ওয়াইসি বলেন, যখন হিটলারের শাসন ছিল, তখন লেখা হতো ইহুদিদের থেকে দূরে থাকো, তারা জার্মানির জন্য হুমকি! এখন ইহুদি সরিয়ে সেখানে মুসলিম লিখে দাও। কোথায় গেল প্রধানমন্ত্রীর “সবার সাথে, সকলের উন্নয়ন, সবার বিশ্বাস” শ্লোগান?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী তার এমপির (রমেশ বিধুরি) বক্তব্য (আপত্তিকর) আরবিতে অনুবাদ করে মুহাম্মদ বিন সুলতান, মুহাম্মদ বিন জায়েদকে পাঠাবেন? তুরস্কের এরদোগানকে পাঠিয়ে বলুন, দেখুন ভারতের নয়া (সংসদ) ভবনে আমাদের দলের এমপি মুসলিমদের সম্পর্কে এভাবে বলেছেন!
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলবেন না। জুনায়েদ-নাসির নিহত হল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলেননি। ট্রেনে তিন মুসলিমকে নাম জিজ্ঞাসা করে হত্যা করা হল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলবেন না!
ওয়াইসি আরো বলেন, মুসলমানদের হত্যা করা হয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে এখন পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে, ঘৃণা করো এবং শাসন করো। ঘৃণা করো আর ভোট অর্জন করো। ঘৃণা করো, আর ক্ষমতা লাভ করো। ইসলামকে গালি দাও, নির্বাচনে জিতে যাও, ইসলামকে গালি দাও এবং প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাও! এই বিদ্বেষের খেলা আর কতদিন চলবে?
সূত্র : পার্সটুডে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: