সুদানে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি দেওয়ার পরেও সংঘাত অব্যাহত ছিল। যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ার পর সৌদি আরব শনিবার সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি আলোচনার আয়োজন করবে।
একটি যৌথ যুক্তরাষ্ট্র -সৌদি বিবৃতি অনুসারে, জেদ্দায় সুদানী সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে ‘প্রাক-আলোচনা আলোচনা’ শুরুকে স্বাগত জানিয়েছে। শুক্রবারের প্রতিবেদনে খার্তুমে অব্যাহত সংঘর্ষের কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে সুদানের সেনাবাহিনী বলছে, আলোচনার লক্ষ্য মানবিক সমস্যা সমাধান করা কিন্তু আরএসএফের তরফ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য জেদ্দায় দূত পাঠিয়েছে। সুদান ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি তাই এই আলোচনার জন্য জাতিসংঘ এবং পরিসেবার সংস্থাগুলো চাপ দিচ্ছিল।
প্রায় তিন সপ্তাহের এই যুদ্ধে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৪ লাখ ৫০হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে, ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়েছে।
মার্কিন ও সৌদি সরকারের বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সুদানের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য এবং সক্রিয়ভাবে যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের অবসানের জন্য আলোচনায় বাসার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুদানের জনগণ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যৌথ এই বিবৃতিতে ‘বর্ধিত আলোচনা প্রক্রিয়ায় সুদানের সকল পক্ষের স্বার্থ নিশ্চিত করার’আশা প্রকাশ করা হয়।
ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, শুধুমাত্র সংঘাতের প্রথম ১১ দিনেই আনুমানিক ১৯০ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং ১ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলো খার্তুম এবং দারফুরের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, ‘বাস্তবতা আরো খারাপ হতে পারে।’লড়াইয়ের কারণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাহায্য বিতরণকে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: