ফ্রান্স সরকার কতৃক স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীদের বোরকা পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞাকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে দেশটির উচ্চ আদালত। ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের উচ্চ আদালত এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে, ফ্রান্স সরকার দ্বারা স্কুলে বোরকা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে একটি মুসলিম অধিকার সংস্থার আপিল বাতিল করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাটি মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না বলেও দাবি করেছে দেশটির আদালত।
আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই নিষেধাজ্ঞাটি ব্যক্তি জীবন, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুতর লঙ্ঘন করেনা। এছাড়াও এটি (নিষেধাজ্ঞা) স্পষ্টভাবে অবৈধ নয়।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী বোরকা ও কামিস পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী কোন ধর্মীয় পোশাক অথবা নিদর্শন রয়েছে এমন কিছু পরিধান করে স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করা যাবে না।
গত ৩১ আগস্ট, মুসলিম রাইটস অ্যাকশন (এডিএম) গ্রুপের একজন আইনজীবী ভিনসেন্ট ব্রেনগার্থ, বোরকার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে রাজসভায় আপিল করেন। তার দাবি এই নিষেধাজ্ঞাটি ‘বেশ কিছু মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন’ করে।
গত সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলে বোরকা পরে আসা শিক্ষার্থীদের তা খুলে ফেলার আদেশ করা হলে সেখান থেকে ৬০ এর বেশি শিক্ষার্থী এ আদেশ প্রত্যাখ্যান করে।
তিনি আরো বলেন, গত সোমবার থেকে ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। যেখানে নতুন আইন ঘোষণা করা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৯৮ জন শিক্ষার্থী বোরকা পড়ে স্কুলে আসে।
বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞাটি ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে দেশটির মুসলিমদের বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিবৃতি ও নতুন আইনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য বস্তু করার বিষয়টিও সমালোচিত হয়ে আসছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: