সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ সাঈদ আল গামেদীর ভাই শায়েখ মুহাম্মদ আল গামেদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। তার অপরাধ তিনি কারাবন্দী আলেমদের পক্ষে ও সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেছেন।
বিচারক আওয়াদ আহমারীর নেতৃত্বাধীন সৌদি সরকারের বিশেষ আদালত শায়েখ মুহাম্মদ আল গামেদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। বিষয়টি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন শায়েখ সাঈদ আল গামেদী।
তিনি জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে শায়েখ আওয়াদ আল করনী, শায়েখ সালমান আল আওদাহ, শায়েখ আলি আল ওমারী ও শায়েখ সাফার আল হাওয়ালীর মতো কারাবন্দী আলেমদের পক্ষে কথা বলাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার ভাই মুহাম্মদ আল গামেদীর।
সৌদি সরকারের দূর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ আলেম-ওলামা ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন এবং অনাচার নিয়ে ৫টি টুইট করেছিলেন মুহাম্মদ আল গামেদী। এছাড়াও গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কারাবন্দী আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জবানবন্দি না দিয়ে উল্টো পক্ষাবলম্বন করাই ছিলো তার একমাত্র অপরাধ।
শায়েখ সাঈদ আল গামেদী জানান, তার ভাই যে টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করেছিলেন, তার ফলোয়ার বা অনুসারী মাত্র ৯ জন। এরপরেও বিশেষ আদালতের বিচারক সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। এছাড়াও আসামীর বয়স, শারীরিক সমস্যা ও স্নায়ুবিক রোগের মেডিকেল রিপোর্টও আমলে নেননি বিচারক।
শায়েখ সাঈদ আল গামেদী জানান, ইসলাম ও সৌদি সংস্কৃতি বিবর্জিত কার্যকলাপ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধাচারী হকপন্থী আলেমদের গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের জুনে তার ভাইকেও টুইট করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১ বছর কারারুদ্ধ রাখার পর গত জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক মামলার মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু করে সৌদির সরকার।
এছাড়াও শায়েখ সাঈদ আল গামেদী এক টুইট বার্তায় তার ভাইকে অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর পক্ষপাত মূলক অন্যায্য বিচারের হাত থেকে বাঁচাতে সকলের সাহায্য কামনা করেন। প্রত্যেকেই যেনো নিজ সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে তার ভাই ও দেশের অন্যতম সফল শিক্ষককে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসেন সেই আহবান জানান তিনি।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: