উচ্চশিক্ষায় নারীদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা তালেবান সরকারের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই নারী শিক্ষায় কড়াকড়ি আরোপ করে তালেবান সরকার। এবার বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাবে সে সুযোগও দেবে না তালেবান। দেশটিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নারীদের ওপর একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে দেশটির তালেবান সরকার। কিছু ক্ষেত্রে আবার ডিক্রি-প্রজ্ঞাপন ছাড়াই চলছে মৌখিক কিংবা নীরব ফতোয়া।

গত সপ্তাহের বুধবার এমনই একটি নতুন নীরব ফতোয়া দেখল আফগানিস্তান। বিনা বাক্য ব্যয়ে, বিনা নোটিশে প্রায় ১০০ জন নারী শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার বিদেশ যাত্রা ভেস্তে দিয়েছে তালেবান। তল্পিতল্পা নিয়ে কাবুল বিমানবন্দর থেকেই ফিরতে হয়েছে আশাহত সেসব নারীকে।

২৯ আগস্ট, সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইভিত্তিক একটি সংগঠনের প্রধান আল হাবতুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খালাফ আহমাদ আল হাবতুর নিজ অর্থায়নে আরব আমিরাতে তাদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। ব্যর্থ হয়ে এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে একটি ভিডিওতে বলেন, ‘প্রায় ১০০ জন নারী শিক্ষার্থীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যাওয়ার অনুমোদন দেয়নি তালেবান। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়েই তারা ইউএইতে যাচ্ছিলেন। বুধবার সকালে তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবের আলো দেখেনি। তালেবানি ফতোয়ার কারণে কাবুল বিমানবন্দর থেকেই ফিরতে হলো তাদের। ’

ভিডিও বার্তায় খালাফ আরও বলেন, ‘এখানে যে মেয়েরা পড়াশোনা করতে আসছিল, তাদের বিদেশ যাত্রার অনুমতি দেয়নি তালেবান সরকার। ১০০ জন মেয়ের বিমান ভাড়াসহ শিক্ষার জন্য আমি স্পন্সর করেছিলাম। কিন্তু তারা বিমানে উঠতে পারেনি। এখানেও থাকার ব্যবস্থা, শিক্ষা, পরিবহণ কিংবা নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই ছিল। ’

এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি তালেবান প্রশাসন এবং আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রদের পক্ষ থেকে। বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা এক ছাত্রীর অডিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ওই ছাত্রীটি বলেন, তার সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গী ছিলেন, কিন্তু তবুও কাবুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে এবং অন্যদের ফ্লাইটে উঠতে বাধা দেয়।

সূত্র : বিবিসি 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: