এরদোগানের তুরস্কে কুরআন শিক্ষায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি, এক কোর্সে অংশ নিয়েছে ২৪ লাখ শিক্ষার্থী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


২০২৩ সালের গ্রীষ্মের বন্ধে তুরস্কের মসজিদগুলোতে ২৪ লাখ শিক্ষার্থী কুরআন শিখেছে বলে জানিয়েছে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়। তুরস্ক এমন একটি দেশ, যে দেশটি এক সময় ছিলো মুসলিম উম্মাহর প্রাণকেন্দ্র তথা উসমানীয় খেলাফতের রাজধানী। কিন্তু ১৯২৪ সালে খেলাফতের পতনের পর ইসলাম বিদ্বেষী কামাল পাশা তুর্কি রাষ্ট্র গঠন করে দেশটিতে ইসলামকে এক প্রকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কামাল পাশার সময় আরবি কুরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ করা হয়। এবং কি আজান দেওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় মসজিদের শহর ইস্তানবুলসহ পুরো তুরস্কে। আরবিতে আজানের অনুমতি দেওয়ায় ১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরিসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে কামালপন্থীরা।

কামাল ও তার অনুসারীরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুরো তুরস্কে মসজিদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তো দুরের কথা, ঘরে বসেই কুরআন শিক্ষা করা ছিলো আতঙ্কের। কুরআন তথা ইসলাম বিমুখ একটি প্রজন্ম গড়ে তুলছিল কামালবাদীরা

তবে ইসলামপন্থীদের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর কুরআন শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তুরস্কে। কেনই বা হবে না, প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই যে একজন কুরআনের হাফেজ!

এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর কুরআন শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে ইমাম-খতীব স্কুলগুলোকে শক্তিশালী করেছেন। মসজিদগুলোতে কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যে এর সফলতা আসতে শুরু করেছে।

আগস্টের মাঝামাঝিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষাবিষয়ক প্রধান সাদিদা আক বুলুত জানিয়েছেন চলতি বছরের গ্রীষ্মের বন্ধে ২৪ লাখ শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআন শিখেছেন। সাদিদা জানান, মসজিদে অনুষ্ঠিত ছয় মাস মেয়াদি একটি কোর্সে অংশ নিয়ে এই শিক্ষার্থীরা পবিত্র কুরআন শিখেছে। কোর্সে প্রতিদিন অন্তত চার ঘণ্টা পর্যন্ত কুরআন শিখানো হতো। কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি এ কোর্সের মাধ্যমে ধর্মীয় শিষ্টাচারও শেখার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে কুরআন হিফজের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তুরস্ক সরকার। হাফেজের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কুরআনচর্চা বাড়াতে বিভিন্ন কোর্সের আয়োজন করছে দেশটির ধর্মবিষয়ক বিভাগ। শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনার পাশপাশি কুরআন পড়ায় অভ্যস্ত হয়, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


সূত্র : ইকনা 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: