হজযাত্রীদের পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর যদি বৈধ অনুমোদনপত্র বা লাইসেন্স না থাকে তবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে হজযাত্রীদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে লাইসেন্স সংগ্রহের তাগিদ দিয়ে নতুন আইন প্রণয়নের কথাও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। খবর গালফ নিউজ।
এ আইন অনুসারে, যেসব পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার লাইসেন্স নেই কিংবা লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নবায়ন করা হয়নি— তাদের বিরুদ্ধে মানহীন সেবার অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা দিতে হবে ৫ লাখ রিয়াল যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার বেশি।
মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, বর্তমানে খসড়া পর্যায়ে রয়েছে আইনটি। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর তা পূর্ণমাত্রায় কার্যকর করা হবে।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গালফ নিউজকে জানিয়েছেন, মূলত দেশি বিদেশি হজযাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনা করেই এই আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কারণ গত কয়েক বছর ধরে একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে নিম্নমানের পরিষেবা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে এবং সরকারি তদন্তে অভিযুক্ত অধিকাংশ সংস্থার কাগজপত্র ও অনুমোদন বিষয়ক নথিতে গরমিল দেখা গেছে।
লাইসেন্সবিহীন কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে যদি নিম্নমানের পরিষেবা প্রদানের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ওই সংস্থার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও সৌদি সরকার দিতে পারবে বলে গালফ নিউজকে জানিয়েছেন হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, যেসব সংস্থা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে— তাদেরকে অবশ্যই সৌদি সরকারের নির্ধারিত সেবার মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া জানতে বর্তমানে নতুন এই আইনের খসড়া সৌদির সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফরম ইস্তিতলায় পোস্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : গালফ নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: