মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে মুসল্লিদের মধ্যে ইফতারি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। হিজরি সালের প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ইফতারের ব্যবস্থা থাকবে। চলতি মাস মহররমের মতো প্রতি মাসেই এ ব্যবস্থাপনা থাকবে বলে জানিয়েছেন মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের মুখপাত্র প্রকৌশলী মাহির বিন মানসি আজ-জাহরানি।
মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের মুখপাত্র জানান, পবিত্র মসজিদুল হারাম ও এর আশপাশে রোজাদার ও মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সেখানে প্রতি আরবি মাসের মতো চলতি মাস মহররমের আইয়ামে বিজ তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ইফতারের ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য রোজাদারদের ইফতারের নির্ধারিত স্থান দেখিয়ে দিত মসজিদের প্রবেশমুখে দায়িত্বশীল নিযুক্ত করা হয়েছে। মাগরিবের আজানের ঠিক আগ মুহূর্তে ইফতারের সুফরা বিছানো হয়। তাতে খেজুর, জমজমের পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
নামাজের ইকামতের আগেই দ্রুততর সময়ে এসব সুফরা তুলে ফেলা হয় এবং নামাজের জন্য পুরো স্থান প্রস্তুত করা হয়।
তিনি আরো জানান, পবিত্র কাবার চত্বরে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নামাজ পড়ছেন এবং ওমরাহ পালন করছেন। সবাই যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহর কার্যক্রম পালন করতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের জন্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নোত্তর প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৭০ জনের বেশি ইসলামী বিশেষজ্ঞ সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছেন। তারা মাতাফ, রাওয়াক সৌদি, বেইসমেন্ট, প্রথম তলা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সৌদি এক্সপানশন, বিভিন্ন তলার মাসআসহ মসজিদ প্রাঙ্গণের ৪৯টি স্থানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করছেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ৩৬ হাজার ইফতার সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে তা মুসল্লিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ইসলামে চন্দ্র মাসের আইয়ামে বিজ তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নত।
বিভিন্ন হাদিসে এ সময় রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আমর ইবনুল আস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, তুমি প্রতি মাসের তিনটি রোজা রাখবে। কারণ প্রতিটি ভালো কাজের বিনিময়ে ১০ গুণ বেশি সওয়াব রয়েছে। এতে পুরো জীবন রোজা রাখার সমতুল্য।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৭৪)
সূত্র : হারামাইন ওয়েবসাইট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: