তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বুধবার ৫০.৭ বিলিয়ন ডলারের মোট ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি।
উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, কাতারের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পরই এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় দেশ একটি উচ্চ-স্তরের কৌশলগত কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। এর সভাপতিত্ব করবেন তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তির ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত হয়েছে।
এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে- শক্তি, পরিবহন, অবকাঠামো, লজিস্টিকস, ই-কমার্স, অর্থ, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পর্যটন, রিয়েল এস্টেট, নির্মাণ, প্রতিরক্ষা শিল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো। এসব ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।
তুরস্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাক্ষরিত চু্ক্তির মোট মূল্য ৫০.৭ বিলিয়ন ডলার।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছবে।
আবুধাবির আল ওয়াতান প্রাসাদে এরদোয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হয়। এরপরই এমন মন্তব্য করেন এরদোয়ান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে ঘনিষ্ঠ সংলাপ এবং সহযোগিতা বিকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের লক্ষ্য বিনিয়োগ প্রচার, নিরাপত্তা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং পরিবহনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করা।
আল নাহিয়ান এরদোয়ানকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান অর্ডার অফ জায়েদ দিয়েও ভূষিত করেছেন।
এরদোয়ান সোমবার তার তিন দেশের উপসাগরীয় সফর সৌদি আরব দিয়ে শুরু করেন। এরপর কাতার ও আমিরাত সফরের মাধ্যমে তিনি এই যাত্রা শেষ করেন।
সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: