গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ওয়াশিংটনের সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট

মুনা সাংগঠনিক ডেস্ক | ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৪০

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ওয়াশিংটনে কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ওয়াশিংটনে কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

 

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে এবং ইসরাইলের প্রতি আমেরিকান সমর্থনের বিরোধিতা করে ‘বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ দিবসের’ অংশ হিসেবে ওয়াশিংটনে কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ১০০ তম দিনে সংহতি প্রদর্শনে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠন এবং সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। সমাবেশে বিভিন্ন স্টেট থেকে মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা – মুনা'র জনশক্তি যোগ দেন।

শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির ১৩২৫ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ এনডব্লিউ এর ফ্রিডম প্লাজায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা –মুনা, আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন- এএমপি, সিএআইআর, ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা, মুসলিম আমেরিকান সোসাইটি, এমএসএ ন্যাশনাল, মুসলিমি লীগ ফান্ড অফ আমেরিকা এবং আমেরিকার ইয়ংগ মুসলিম এর পৃষ্ঠপোষকতায় এই বিক্ষোভ সমাবেশটি সংগঠিত হয়।

লাখো মানুষের এই সমাবেশে বক্তৃতা দেন মুনা ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশিদ সহ অন্যান্য মুসলিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ।

 

 

সমাবেশে যোগ দেয়া বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ মাথায় দিয়ে এবং ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ‘এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করুন’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে সমাবেশে উপস্থিত লাখো মানুষ। এছাড়া ‘মুক্ত প্যালেস্টাইন চাই’ এবং ‘গাজার যুদ্ধ শেষ করুন’ লেখা ব্যানার-পোস্টারও দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের হাতে।

হোয়াইট হাউসের কয়েক ব্লক পরেই একটি মঞ্চে নির্মাণ করা হয়। অনেক ফিলিস্তিনি-আমেরিকানযারা মূলত গাজার বাসিন্দা, তারা গাজায় নিহত বা আহত তাদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের উপর আবেগঘন কথা বলেন মঞ্চে উঠে। তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরাইলের জন্য সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহজেই এই গনহত্যা বন্ধ করতে পারেন। এ সময় ব্যাপক করতালি দিয়ে বিক্ষোভকারীরা এই বক্তব্যে সমর্থন জানায়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার অজুহাতে প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল গাজায় ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু করে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচার এবং অবিরাম বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এতে কমপক্ষে ২৩,৮৪৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ এই মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: