ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৭

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ (UNGA)-তে অংশগ্রহণ শেষে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি জন এফ কেনেডি (JFK) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেন।

যাত্রার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরে তার সঙ্গে ছিলেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও নীতিনির্ধারকরা।

নিউইয়র্ক অবস্থানকালে ড. ইউনূস দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর-এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জানান।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত “Social Business, Youth and Technology” শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে ড. ইউনূস বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মূল অধিবেশনেও তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, সামাজিক ব্যবসা, মানব উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সফরকালে বিশ্বের ১১টি দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রাক্তন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া ও উন্নয়নধারার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আরও ঘন ঘন সফরের আহ্বান জানান।
সফরের শেষদিন প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত “মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি” নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য দেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা আশা করেন এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে অংশগ্রহণ শেষে ড. ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক, বৈশ্বিক নেতৃত্বে অবস্থান এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: