
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) সমাবেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালের সংঘর্ষে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) এবং কোটালীপাড়া উপজেলার রমজান কাজী (১৮)।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, তাদের মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর আগে, গোপালগঞ্জ সদরে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
সংঘর্ষের কারণে উত্তেজনা বাড়ায় জেলায় কারফিউ জারি করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সমর্থকরা লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ও গলিতে অবস্থান নেয়। এর ফলে র্যাব, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যরা শহরে তাদের টহল জোরদার করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: