
একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোট করার লক্ষ্যে ইউএনডিপি’র সহায়তায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যালট নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পে ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়া ও জাতিসংঘের মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলী, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ এবং ইউএন উইমেনের উপ-প্রতিনিধি নবনীতা সিনহার উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যালট প্রকল্প আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ভরসাযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুজান রাইল বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন রয়েছে। আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, নির্বাচন কমিশনের ব্যালট প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমরা ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করবো।
ব্যালট প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণ একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ওদিকে অনুষ্ঠান শেষে চুক্তির বিষয়ে ইসি’র জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ইউএনডিপি প্রথম থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে। তারা ব্যালট প্রকল্পে প্রায় এক কোটি ৮৩ লাখ ডলার সহায়তা দেবে। এই প্রকল্পের আওতায় সক্ষমতা ও সচেতনতা বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলাসহ মোটা দাগে ১৬টি কম্পোনেন্ট থাকবে।
অপরদিকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে বুহস্পতিবার সপ্তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভাকক্ষে বেলা ১১টায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইসি’র সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা যায়।
সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫; জাতীয় সংসদে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আবেদন জমা পড়েছে ৬০৭টি। ৭৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চেয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে আবেদন করেছেন।
প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা, স্ট্যাটাস, জনসংখ্যা, ভোটসংখ্যা এবং ঐতিহাসিক ভিত্তিও সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেবো। এ ছাড়া ২২৫টি আসনে কোনো আবেদনই পড়েনি। সেগুলোতে আমরা হাত দেবো না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: