সামুদ্রিক আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (বিসিজি) বহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কমিশন করেছেন বাংলাশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচটি জাহাজের মধ্যে দুটি হলো উপকূলীয় টহল জাহাজ ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’ ও ‘বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা’, দুটি টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রত্যয়’ ও ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’এবং একটি ভাসমান ক্রেন ‘বিসিজিএফসি শক্তি’।
২১ জুন, বুধবার সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজগুলো চালু করেন তিনি। নতুন অত্যাধুনিক জাহাজের অন্তর্ভুক্তি চিহ্নিত করার জন্য পাঁচটি পৃথক ফলক উন্মোচন করা হয়।
বিসিজি পতেঙ্গা বার্থ প্রাঙ্গণে কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিসিজি বহরে নতুন যুক্ত হওয়া জাহাজের একটি অডিওভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিসিজি পতেঙ্গা বার্থে আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজগুলোর কমিশনিং ফরমান (বিবৃতি) নিজ নিজ অধিনায়কের কাছে হস্তান্তর করেন।
পাঁচটি জাহাজের মধ্যে দুটি অভ্যন্তরীণ টহল জাহাজ ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’ এবং ‘বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা’ তৈরি করেছে নারায়ণগঞ্জের রাষ্ট্রায়ত্ত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এবং দুটি টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রত্যয়’ এবং ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং ভাসমান ক্রেন ‘বিসিজিএফসি শক্তি’ তৈরি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত খুলনা শিপইয়ার্ড।
মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে ‘বিসিজিএস জয় বাংলা’-এর ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, নতুন জাহাজগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সেন্সর এবং নজরদারি রাডার রয়েছে।
তিনি বলেন, এই পাঁচটি জাহাজ চালু হলে বিসিজির অপারেশনাল কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে এবং বহির্নোঙরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, ব্লু- ইকোনমি সীমান্তে টহল বৃদ্ধি পাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামুদ্রিক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সহজ হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: