কয়েকটি দাবিতে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তা অবরোধ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৪

ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসাসহ কয়েকটি দাবিতে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁয়ে মিরপুর রোডের উভয় পাশ দখলে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা। শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করায় মিরপুর রোডের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতালের) সামনে থেকে সরে গিয়ে তারা ওই মোড়ে অবস্থান নেয়। এতে করে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা।

উন্নত চিকিৎসার দাবি জানালেও এ বিষয়ে কেউ ‘গুরুত্ব দিচ্ছেন না’ অভিযোগ করে শনিবার রাত ১০টার পর সড়কে নেমে আসেন পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা আহতরা।

রোববার সকালে তাদেরকে পঙ্গু হাসপাতালের দুই পাশে রাস্তার উপর বেঞ্চ, চেয়ার ও বাঁশ ফেলে আটকে রাখতে দেখা গেছে। আহতদের কেউ কেউ সড়কে বিছানা পেতে শুয়ে পড়েন। তাতে শিশু মেলা থেকে আগারগাঁও ট্রাফিক সিগন্যাল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শিশু মেলা মোড়ে অবস্থান নিলে মিরপুরে রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারীদের নেতা কোরবান শেখ হিল্লোল বলেন, ‘বিদেশি ডাক্তার এসেছিল। তারা আমাদের পরীক্ষা করে একটা মতামত দিয়েছে। আমাদের মধ্যে যাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছে, তাদের আর আমাদের শারীরিক অবস্থা একই বলে ডাক্তারদের মতামতে উঠে এসেছে।’

উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এর আগে নভেম্বরে সড়ক অবরোধ করেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। সরকার ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসার বিষয়টিও দেখভাল করছে। তবে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের অভিযোগ, তারা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

আহতদের দাবিগুলো হচ্ছে-

১. ২৪’র যোদ্ধাদের মধ্যে আহত ও শহীদদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ বিচার।
২. বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপরসারণপূর্বক গ্রেপ্তার।
৩. আহতদের ক্যাটাগরি সঠিকভাবে প্রণয়ন।
৪. আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন।
৫. আহতদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আহত ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. আহতদের আর্থিক অনুদানের অঙ্ক বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়টি সুসংহত করতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: