মাঘের তীব্র শীতে আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাতাসের সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীত সেখানকার জেলাগুলোর সর্বত্র জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে পশ্চিমা বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। তবুও জীবিকার প্রয়োজনে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। এতে বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বুধবার নওগাঁ জয়পুরহাটসহ বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা আজ একটু বেশি হলেও কুয়াশা বেশি। তাই কুয়াশা পড়ছে হালকা বৃষ্টির মত। এর সঙ্গে শীত বাড়তে পারে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ইকরগারা গ্রামের মোজাহিদ বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। হাত-পা কাজ করছে না। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নেই। জীবিকার তাগিদে বের হতেই হবে।
বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসচালক বায়েজিদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার থেকে এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশা। সড়কে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে। যাত্রীও কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়ত বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। দিনাজপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। এছাড়া সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: