ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত ‘উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আইএসপিআর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ নানা সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। (আনন্দবাজারের) এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসুত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলেছে, সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে, উল্লিখিত সংবাদপত্রটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই উপেক্ষা প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: