ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমীকে বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে বরখাস্তের পরিবর্তে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর এই প্রমার্জনা করে ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ভূতাপেক্ষভাবে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমী, পিএসসিকে তাঁর বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে বরখাস্তের পরিবর্তে ২৪ জুন, ২০০৯ তারিখ থেকে ভূতাপেক্ষভাবে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২৪ জুন, ২০০৯ তারিখ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমীকে প্রযোজ্য সব প্রকার আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধাসহ ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইতিপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ জুন, ২০০৯ তারিখে জারিকৃত ওই অফিসারের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে থেকে আটকের বিষয়টি একাধিকবার দাবি করা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।
গত ৫ আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কচুক্ষেতে সমবেত হয়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির দাবি জানান। এরপরই তাঁরা মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: