চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে সংঘর্ষ, দেশজুড়ে বিক্ষোভ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ইসকনের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ইসকনের অনুসারীরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে প্রিজনভ্যান আটক করে চিন্ময়কে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ অপরাধ বলে আখ্যায়িত করে এক বিবৃতিতে বলেন, একটি ‘পতিত গোষ্ঠী’ বাংলাদেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা করছে।

হেফাজত নেতারা এই ঘটনাকে ‘ভারতের উসকানি ও মদদপুষ্ট ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও এতে যোগ দেন।

এছাড়া ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশগুলোতে বক্তারা ইসকনের কর্মকাণ্ডকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেন। তারা অভিযোগ করেন, ভারতের মদদপুষ্ট ইসকন বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বক্তারা ইসকনের কার্যক্রমের কারণে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: