জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর, বুধবার খালেদা জিয়াসহ অন্য দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
ছয় বছর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে আজ খালাসের রায় দিলেন।
আদালতে এর আগে আজ বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত বলেছেন আপিলটি লাইন বাই লাইন পড়েছেন। এভিডেন্সগুলো দেখেছেন। এরপরই আপিলটি মঞ্জুর করেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, খালেদা জিয়া ও আরও দুজনের পৃথক দুটি আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। মামলায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
অন্য দুজন হলেন, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান ও বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিগত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ ও মুক্তি দেওয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: