গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডির সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাদের প্রাথমিক তদন্তে বলপূর্বক গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি এবং সাধারণ পুলিশের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘গুমের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট রয়েছে তা এখনো বলা যাবে না। তবে আমরা ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি এবং সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি খুঁজে পেয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করেছি। পরের বার তিনজন, তারপরে আরও পাঁচজনকে তলব করতে পারি এবং এটি অব্যাহত থাকবে।'

তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ টির বেশি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

কমিশন সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৪০০ টি অভিযোগ খতিয়ে দেখেছি। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি।'

তিনি জানান, পুলিশ আসামিকে কীভাবে গ্রেপ্তার করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে, কিন্তু তা অনুসরণ করা হয়নি। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করার কথা ছিল, কিন্তু অভিযুক্তদের মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর আটকে রাখা হতো।

তিনি বলেন, জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কারণেও অনেকেই বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন। গুমের শিকার দুই শতাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট সরকার ৬ জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট, ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সনাক্ত এবং খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করে। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নুর খান ও সাজ্জাদ হোসেন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: