নীতি সুদহার বাড়ানোয় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশের ব্যাংক ঋণের সুদহারও। এতে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে দেশটির ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, অতিরিক্ত সুদের চাপে কমতে পারে বিনিয়োগ, কমবে কর্মসংস্থানও। চলমান অস্থিরতায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতেও ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে, সুদ হার বাড়ানো ঠিক হয়নি বলে মত বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের।
মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি থেকে শিল্পে নতুন বিনিয়োগের ধারণা পাওয়া যায়। জুলাই-সেপ্টেম্বরে, গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ কমে গেছে এই আমদানি। বিনিয়োগ কমার পেছনে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর শ্রমিক অসন্তোষে উৎপাদন ব্যাহত হওয়াকে কারণ বলেছেন অনেক উদ্যেক্তা।
এখন নীতি সুদহার বেড়ে ১০ শতাংশ হওয়ায়, আরও উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বাড়তি সুদের চাপে নতুন বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘উচ্চ সুদহারে কেউ বিনিয়োগে যাবে না। বরং বর্তমান যে বিনিয়োগ আমাদের আছে সেটাই এখন হুমকির মুখে পড়ে গেছে। সুদহার ক্রমাগত যেহেতু বেড়েই যাচ্ছে তখন সেটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আসছে।’
উদ্যোক্তারা বলছেন, শিল্প ঋণের ব্যয় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।
বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, আরো বন্ধ হবে, বন্ধ হয়ে গেলে কর্মসংস্থান হারাবে। অনেকে বেকার হয়ে পড়বে।’
আইবিএফবি এর সভাপতি হুমায়ুন রশীদ, ‘যারা উদ্যোক্তা তাদের পক্ষে এতো চাপ নেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব কি না সেটাই বুঝতে হবে। এমন চাপ নিলেন, যেটা নেওয়ার ক্যাপাসিটি আপনার নাই। এরকম চাপ নিলে আরো বেশি কষ্টকর করে ফেলবেন আপনার শিল্পকে। আপনার শিল্প আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
এ মুহুর্তে নীতিসুদ হার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: