গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের সরকার পতন ও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৫ আগস্ট দেশটির রংপুর জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর অফিসের তালা ভেঙে ফেলেছিলেন নেতাকর্মীরা। সংস্কার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০১২ সালের পর কার্যালয়ে জামায়াতের কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।
২৪ অক্টোবর দেশটির স্থানীয় সময় বিকেলে নগরীর শাপলা চত্বরে অবস্থিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ এই অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। অফিসে থাকা কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যসহ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল। অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আমাদের ওপর জুলুম করেছে।
তিনি বলেন, আল্লাহতায়ালা ময়দানে ফেরার যে তৌফিক দিয়েছে তার জন্য শুকরিয়া হিসেবে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। যে শক্তি বিতাড়িত হয়েছে তাদের ব্যাপারে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। তারা যেন দেশে ঢুকে আবার অন্যায় করতে না পারে। তাদের এখন একটাই পরিকল্পনা কীভাবে বাংলাদেশের এই পরিবেশকে নস্যাত কতে সারা দুনিয়াকে দেখানো যায় যে বাংলাদেশ অচল হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য দেন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজি, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক কাজল, মহানগর প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাওছার আলী, ছাত্রশিবিরের মহানগর সভাপতি গোলাম জাকারিয়া, জেলা উত্তর সভাপতি হোসাইন আহমেদ, সেক্রেটারি হামিদুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সেক্রেটারি মুনতাজির সালেহীন প্রমুখ।
এর আগে ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ডাকা সমাবেশে হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেয় পুলিশ। পরে অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
মহানগর নায়েবে আমির আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর সেক্রেটারি আবু ওবায়দুল্লাহ সালাফি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: