শনিবার বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। সংলাপের পর ১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের যেসব পেতাত্মা এখনো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাদের আমরা অপসারণ করতে বলেছি।’
মোস্তফা জামাল হায়দার আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ট্রাকের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও অবিলম্বে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করা প্রয়োজন, তিনি সেই পদক্ষেপ নেবেন।’
১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের পরিসর বাড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে এনে সুশাসন কায়েম করতে হবে। আমরা সংস্কারের বিষয়ে একমত পোষণ করেছি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করে তৃণমূল থেকে স্বৈরাচারকে উৎখাতের কথা বলেছি। সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছি।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ছাত্র–জনতার বিপ্লবে গঠিত সরকারকে এখন বিপ্লবী আচরণ করতে হবে, ফ্যাসিজমের মূল উৎপাটন করতে হবে। যেসব দল ফ্যাসিজমকে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’
১২–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১৪ দফা লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: